ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ , ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলা থেকে বিয়ে- স্বামী স্ত্রী মিলে ব্যবসায়ী কে হয়রানির অভিযোগ


আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-০৭ ১৮:২৪:৪৭
ধর্ষণ মামলা থেকে বিয়ে- স্বামী স্ত্রী মিলে ব্যবসায়ী কে হয়রানির অভিযোগ ধর্ষণ মামলা থেকে বিয়ে- স্বামী স্ত্রী মিলে ব্যবসায়ী কে হয়রানির অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার 

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মাইনুদ্দিন এর মেয়ে মোসাঃ শান্তা ও এক‌ই ইউনিয়নের কালীকৃত্তি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মেহেদী হাসান (৩৫) দীর্ঘ সময় ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ঢাকাতে একটি ভাড়া বাসায় থাকে। সম্পর্কের একপর্যায়ে নিজেদের ভিতর মনোমালিন্যের জের ধরে শান্তা ধর্ষণ মামলা দেয় মেহেদী হাসান এর বিরুদ্ধে। উল্লেখিত মেহেদী হাসান বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত রয়েছে।

পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য সালিশি মীমাংসায় বসেন উভয়পক্ষ। সালিশি মীমাংসায় সালিশদার হিসেবে মোঃ জামাল, এ্যাডভোকেট লিটন, মোঃ রাকিব সহ কয়েকজন সহ মধ্যে রতনপুর এলাকার বাসিন্দা ঢাকার ব্যবসায়ী মোঃ পারভেজ উপস্থিত থাকেন। 

এখন তারা নতুনভাবে বিয়েতে আবদ্ধ হয়ে স্বামী স্ত্রী মিলে ব্যবসায়ী পারভেজকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পারভেজ ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আবু তাহের এর ছেলে মোঃ পারভেজ (৫০), এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, 

শান্তা ও মেহেদী হাসান সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং অন্যান্য বিবাদীরা পরস্পর আত্মীয় স্বজন। শান্তা ও মেহেদী হাসান এর মধ্যে পারিবারিক ভাবে মনমালিন্যের সৃষ্টি হইলে বিষয়টি আমাকেসহ উল্লেখিত সাক্ষীদের জানায়। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমাংসার চেস্টা করি। একপর্যায়ে শান্তা ও মেহেদী হাসানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় এবং মেহেদী হাসান শান্তা কে নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করিবে বলিয়া সিন্ধান্ত হয়। একপর্যায়ে উল্লেখিত সাক্ষীসহ স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে মেহেদী হাসান শান্তা কে ৫ লক্ষ টাকা নগদ টাকা প্রদান করে। শান্তা পরবর্তীতে মেহেদী হাসানের বিরদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলিয়া নেওয়ার কথা থাকে এবং মামলা উঠানোর জন্য সালিশগন আমার উপর দায়িত্বভার দেয়। শান্তা মেহেদী হাসান এর সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করিয়া পূনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যাহা নিয়া শান্তা ও মেহেদী হাসান একজোট হইয়া আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে শান্তা কে দেওয়া ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান আমার সহিত কথাবার্তা বলিয়া আমার নিকট হইতে কৌশলে জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা পাইবে বলিয়া লিখিয়া নেয়। আমি বিষয়টি জানতে পারিয়া উল্লেখিত সাক্ষীদের অবগত করিয়া সালিশ মিমাংসার চেষ্টা করিলে বিবাদীরা স্থানীয় সালিশ মিমাংসা তোয়াক্কা না করিয়া আমাকে হয়রানী করার ষড়যন্ত্র করে। শান্তা, মেহেদী হাসান, অহিদা বেগম, মোঃ মাইনুদ্দিন, 

অহবর্তমানে লোকজন নিয়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপসৃষ্টিসহ হুমকি ধামকি দিয়া আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল অনুমান ১০ টায় শিবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ মধ্য রতনপুর গ্রামের আমার বসত ঘরের সামনে আসিয়া আমার নিকট হইতে নগদ ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে এবং আমার সহিত মারমুখি আচরন করে। একপর্যায়ে বিবাদীরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়া চলিয়া যায়। বর্তমানে তারাসহ তাহাদের সঙ্গীয় কিছু কুচক্রিমহল একত্রিত হইয়া আমাকে জোর পূর্বক সালিশির মত আয়োজন করিয়া জোর পূর্বক আমার নিকট হইতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করিতেছে। বিবাদীরা যে কোন সময় আমাকে বড় ধরনের ক্ষতিসাধন কিংবা হয়রানী করার ষড়যন্ত্র করিতেছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শান্তা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ